স্কুলের সুনামের জন্য পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দিতেন শিক্ষকেরা। অভিযোগ রয়েছে স্কুলের তত্ত্বাবধায়কের নির্দেশেই শিক্ষকেরা এমনটা করতেন। এ রকম জালিয়াতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ১১ জন সাবেক স্কুলশিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসির খবরে জানা যায়, স্কুলের শিক্ষার্থীদের উন্নতি দেখাতে গিয়ে শিক্ষকেরা তাঁদের ভুল উত্তরকে সঠিক করে দিতেন। স্থানীয় একটি পত্রিকার খবরে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা যে নম্বর পেয়েছিলেন, তা ছিল অস্বাভাবিক।
২০১৩ সালে ৩৫ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আদালতে বিচারকাজের সময় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন স্কুলের সাবেক শিক্ষক জ্যাকি পার্কস। ২০১৩ সালে তিনি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার এই জালিয়াতি অনেক দিন ধরে চলেছে। এটিকে আমরা চাকরির একটা অংশ হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম।
ওই স্কুলের ব্যবস্থাপনার তত্ত্বাবধায়ক বেভারলি হল গত মাসে স্তনের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গুরুতর অসুস্থ থাকায় তিনি বিচারের সময় আদালতে হাজির হননি।
জালিয়াতির ঘটনার ব্যাপারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন বেভারলি। তিনি বারবার বলেছিলেন যে তিনি নির্দোষ। কিন্তু শিক্ষকদের অভিযোগ, তিনিই শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ দিতেন।
২০০৯ সালে বেভারলি বছরের সেরা স্কুল তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে পুরস্কৃত হন। বিভিন্ন পরীক্ষায় তাঁর স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করায় আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব স্কুল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তাঁকে এই পুরস্কার দেয়।
Leave a Reply